বর্তমান সময়ে সব কিছু অনলাইন নির্ভর হয়েছে কালের প্ররিক্রমায়। মানুষ এখন সরাসরি মিটিং করার পরিবর্তে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই কাজ করে চলেছে । আর এই সব অনলাইন মিটিং করতে হলে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ ছাড়া কোনো উপায় নেয় ।
এই অ্যাপগুলো আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে । আরও বেশি হয়েছে গতিশীল । আগে একটা মিটিং করতে অনেক দূর থেকে আসা লাগত । আর এখন ঘরে বসেই এই কাজটি করতে পারেন ।
তাই জানতে হবে আমাদের মোবাইলের কোন কোন ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ আছে বা ইন্সটল দিতে হবে । ভিডিও মিটিং করতে হলে ।
সেরা ৫টি ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ
Zoom Meetings
গুগল প্লে স্টোরে Zoom meetings লিখে সার্চ দিলেয় চলে আসবে । Zoom cloud meetings নামে । এই অ্যাপ সাধারণ ইউজার থেকে এন্টারপ্রাইজ সকলের জন্য প্রযোজ্য । এখানে আপনি ফ্রিতে একটা অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ব্যবহার করতে পারবেন ।
তবে ফ্রি ভার্সনে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে । যেমন ১০০ জনের বেশি একই সাথে মিটিং করতে পারবে না । আর ফ্রিতে সময়ের লিমিট ৪০ মিনিট থাকে । ৪০ মিনিট পরে অটোমেটিকভাবে এই মিটিং কেটে যায় ।
তার পর আবার নতুন করে শুরু করা যায় । ফ্রিতে আপনি আপনার স্কিন অন্যদের জন্য শেয়ার করতে পারবেন । ফাইল রেকর্ড করতে পারবেন । এছাড়া যদি পেইড কোনো প্যাকেজ ব্যবহার করেন তাহলে সেই প্যাকেজের যত সুবিধা আছে তার সব ব্যবহার করতে পারবেন ।
শুধু মোবাইলে নয় কম্পিউটার সফটওয়্যার ও ওয়েব সাইট ব্যবহার করে এই সুবিধাগুলো নিতে পারবেন । এখন ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ এর মধ্যে অন্যতম এটি ।
ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ Zoom Meeting কী? কীভাবে কাজ করে?
Google meet
গুগলের অন্যতম সার্ভিস গুগল মিট । এটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে অবশ্যই জিমেইল অ্যাকাউন্ট লাগবে । আপনার যদি কেউ মিটিং এর লিংক দেয় তাহলে খুব সহজে মিটিং এ জয়েন্ট করতে পারবেন ।
এছাড়া আপনিও মিটিং তৈরি করে অন্যদের সাথে মিটিং করতে পারেন । জুম মিটিং এ যে কেউ মিটিং এ প্রবেশ করতে পারে কিন্তু গুগল মিটে পারমিশন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে । যে মিটিং তৈরি করেছে সে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন ।
আপনি এখানে ফ্রিতে সবোর্চ ২৫০ জন একই সাথে মিটিং করতে পারবেন । এছাড়া এটেনশন দেওয়ার জন্য হাত উঠানোর সিস্টেম আছে । এছাড়া মিটিং গুলো সেইফ করা যায় ভিডিও আকারে ।
Microsoft Teams
মাইক্রোসফট কোম্পানির অন্যতম সেবা মাইক্রোসফট টিম । এই অ্যাপে সুবিধা নিতে হলে আপনার তাদের মাইক্রোসফট ৩৬৫ প্যাকেজে ক্রয় করা থাকতে হবে ।এখানে অন্য অ্যাপের মত স্কিন শেয়ার করা ও ভিডিও ব্যাকআপ নেওয়া যায় ।
পেইড ভাবে ব্যবহার করলে আপনি সর্বোচ্চ ১০০০০ জন নিয়ে মিটিং করতে পারবেন। ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ গুলোর মধ্যে অন্যতম ।
Messenger
মেসেঞ্জারে একই ভাবে অল্প কিছু সুবিধা নিয়ে এসেছে মেসেঞ্জার । এখানে অল্প কিছু মানুষ নিয়ে ভিডিও কলে কথা বলা বা মিটিং করা যায় । আপনি রুম তৈরি করে সেখানে অন্যদের ইনভাইট করে মিটিং করতে পারেন ।

সেখানে নিজের স্কিন শেয়ার ও হাত ওঠানো যায় । কিছু বলার জন্য । এছাড়া একই সাথে অনেক মানুষ একই ভিডিও দেখা যায় । গেম খেলা যায় ।
Skype
ভিডিও কলের বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করছে আর স্কাইপের নাম শোনে নি এমন মানুষ পাওয়া যাবে না । স্কাইপ অনেক আগে থেকে তার সেবা দিয়ে যাচ্ছে ।
আগে সর্বোচ্চ ২৫ জন এক সাথে মিটিং করতে সুবিধা দিয়ে থাকলেও প্রতিযোগিতার মাঠে এখন ৫০ জনকে একই সাথে মিটিং করতে দিচ্ছে । আপনি মোবাইল কম্পিউটার ব্যবহার করে এই সুবিধা নিতে পারেন ।
ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ
আপনি চাইলেই এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে পারবেন মোবাইল, কম্পিউটার ওয়েবসাইট বা এক্সটেশন হিসেবে । এই অ্যাপগুলো আমাদের বর্তমান সময়ে মিটিং গুলো অনেক সহজ করে দিয়েছে । যা আমাদের জীবনকে আরও প্রাণবন্ত করেছে ।