ডি জিটাল এই সময়ে আমরা স্মার্টফোন ছাড়া চলে পারি না । স্মার্টফোনে আসক্তি আসবে এটাই স্বাভাবিক । স্মার্টফোনে আসক্তি এর ফলে আমাদের সকল প্রজন্ম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ।
মোবাইলে আসক্তির কারণে আমাদের মানষিক ভাবে ক্ষতির শিকার হতে হয় । সেই সাথে সময়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে । এই আসক্তির কারণে তারা কারও সাথে কথা বলতে চায় না । সব সময় মনে হয় তারা অন্য জগতে আছে ।
তাদেরকে অন্য কিছু টেনে ধরেছে । স্মার্টফোনে আসক্তি বলা যায় মাদকাসক্ত এর চেয়ে কম ভায়াবহ নয় । তাই সময় থাকতে যদি আমরা সর্তক না হয় তাহলে আমাদের দিতে হবে অন্য রকম মূল্য । তাই কিভাবে মোবাইল ব্যবহার করলে আমাদের প্রয়োজনের চেয়ে আসক্তি কম হবে । সেই সম্পর্কে জেনে নেব ।
স্মার্টফোনে আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিন ।
মানুষিক ভাবে প্রস্তুতি
আমি প্রথমে বলব যেকোনো কাজ করার জন্য যেমন মানষিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে হয় । তেমনি স্মার্টফোনে আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে । একেবারে পারবেন না ।
প্রথমে এমন ভাবে কাজ করবেন যে কম মোবাইল হাতে নেওয়ার চেষ্টা করবেন । যখন দেখবেন হচ্ছে না তখন মোবাইল হাতে নিবেন । এই ভাবে চেষ্টা করতে থাকুন এক সময় অনেক কাজে দিবে ।
প্রিয়জনদের সাথে সময় দিন
আপনার আশেপাশে যে সকল প্রিয়জন আছে তাদের সাথে বেশি সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন । যেমন মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন তাদের সাথে ।
আপনার কাছে স্মার্টফোন থাকলে তা দূরে রেখে তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে গল্প করতে পারেন । দেখবেন খুব ভালো লাগবে আর মোবাইলের আসক্তি আস্তে আস্তে কমে যাবে ।
বন্ধুদের সাথে খেলা ধুলা তাহলে স্মার্টফোনে আসক্তি হবে না
আপনার যদি খেলা ধুলার প্রতি যথাযথ মন থাকে তাহলে খেলায় মনোনিবেশ করতে পারেন । আপনি যখন খেলায় সময় দিবেন তখন দৌড়াদৌড়ি করার কারণে মোবাইল বা ডিজিটাল ডিভাইস বলেন সেদিকে খেয়াল থাকবে না ।
ঘুমানোর সময় স্মার্টফোন কাছে নয়
অনেকের ক্ষেত্রে এই কাজটি হয়ে থাকে যে ঘুমানোর সময় স্মার্টফোন কাছে থাকে । ফোন কাছে থাকার কারণে তারা স্কিনের দিকে অধিক সময় তাকিয়ে থাকে । এর ফলে খুব সহজে ঘুম আসে না । তাই এই অভ্যাসটি পরিবর্তন করতে হবে ঘুমানোর সময় ফোন অনেক দূরে রাখতে হবে যেন খুব তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসে ।
নির্ধারিত সময় সেট করা
স্মার্টফোন থেকে নিজেকে মুক্তি করার জন্য দিনের একটা নির্ধারিত সময় থাকবে সেই সময় কোনো ভাবেই স্কিনের দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না । কিছু দিন করলে দেখবেন কাজ হচ্ছে এই অভ্যাসের ।
মোবাইলের ব্রাইটনেস কমানো
মোবাইল ফোনের যে ব্রাইটনেস থাকে সেখানে আমাদের চোখের ভালো ক্ষতি করে থাকে । আমরা সেই সাথে রঙিন আলোর সাথে আসক্ত হয়ে যায় । রাতে যাদের ঘুম ভালো ভাবে হয় না তাদের অধিকাংশ হয়ে থাকে । অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করার কারণে ।
সোশ্যাল মিডিয়া কম্পিউটার এ চালানো
আমরা যখন শুয়ে শুয়ে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো ব্যবহার করে থাকি তখন আমরা বেশি পরিমাণ স্মার্টফোনে আসক্তি হয়ে থাকি । কখন যে আমাদের সময় চলে যায় তা আমরা বুঝতে পারি না ।
তাই স্মার্টফোনের আসক্ত থেকে বাঁচতে হলে আমাদের মোবাইল ফোন বাদ দিয়ে কম্পিউটারে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে হবে । কারণ কম্পিউটারে চেয়ারে বসে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে বেশি ভালো লাগবে না ।
স্মার্টফোনে আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ডাটা অফ রাখা
আমরা যদি সব সময় মোবাইলের ডাটা অন রেখে দেয় । তখন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশন আসতে থাকে । তখন মনে হয় দেখিতো কে ম্যাসেজ পাঠিয়েছে বা কি নোটিফিকেশন এসেছে এই দেখতে গেলেয় আমাদের অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায় ।
লেখাপড়ায় ফোন কম ব্যবহার করুন
এখন আমরা লেখাপড়ায় অধিক পরিমাণে ফোন ব্যবহার করে থাকি । দেখা যায় যে ই-বুক ব্যবহারের ফলে আরও বেশি ফোনের দিকে ঝুকে যেতে হচ্ছে । তাই আমরা ফোনের ই-বুক বাদে কাগজের যে সব বই আছে সেগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করব । তাহলে আমরা স্মার্টফোনে আসক্তি কম হব ।
আরও পড়ুনঃ স্মার্টফোনের ১০টি অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে জেনে নিন