ব্লুটুথা এক সময় মানুষের মোবাইল থেকে মোবাইলে ওয়্যারলেস ফাইল শেয়ারিং এর একমত্র উপায় ছিল। ব্লুটুথ ব্যবহার করে মানুষ বিভিন্ন ধরনের ফাইল আদান প্রদান করত ।
তবে Bluetooth এখনও ব্যবহার হয়ে থাকে সেটা ফাইল নেওয়ার কাজ হিসেবে খুব কম । Bluetooth এখন ডিভাইস থেকে ডিভাইসে ওয়ারলেস কানেক্ট করার জন্য ব্যবহার করা হয় যেমনঃ হেটফোন থেকে মোবাইলে কানেক্ট ।
এখন Bluetooth থেকে আরও অনেক বেশি উন্নত প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়েছে সেগুলো মানুষ ব্যবহার করে থাকে । তাই আজকে আমরা জানব ব্লুটুথ কি? ব্লুটুথ এর বৈশিষ্ট, সুবিধা ও অসুবিধা এর সব কিছু সাথেই থাকুন।
ব্লুটুথ সম্পর্কে কয়েকটি কথাঃ
Bluetooth এর আবিষ্কারক ড.জ্যপ হার্টসেন ১৯৯০ সালে । ৯০০ খ্রীস্টাব্দের পরের সময়ের ডেনমার্কের রাজার নাম অনুশারে নাম করণ করা হয় । Bluetooth সাধারণত (১-১০০) মিটার পর্যন্ত কাজ করে থাকে তবে ১০ মিটারের মধ্যে বেশি কাজ করে থাকে ।
বিদ্যুৎ কোষের কারণে অনেক সময় দেখা যায় ওয়্যারলেসে ৫০০ মিটার পর্যন্ত কাজ করে থাকে । Bluetooth ২.৪৫ গিগাহার্টাজ এ কাজ করে থাকে । Bluetooth 1.0 তথ্যের আদান-প্রদান করা যায় সর্বোচ্চ গতি হয়ে থাকে ১ মেগাবিট পর্যন্ত । তবে বর্তমান সংস্করণে Bluetooth এর গতি ২ মেগাবিট পর্যন্ত হয়ে থাকে ।
Bluetooth এর সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্যঃ
১) এটা সাধারণত ১-১০০ মিটারের মধ্যে বেশি কাজ করে থাকে তবে ১০ মিটারের মধ্যে বেশি কাজ করে থাকে ।
২) এটি ২.৪৫ গিগাহার্টজ ফ্রিকুয়েন্সি ব্যান্ড ।
৩) সাধারণ ফোন ল্যাপটপ পিডিএ বা বিভিন্ন ধরণের ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসে ব্যবহার করা যায় ।
৪) Bluetooth স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনফিগার করতে পারে । এখানে কোনো কনফিগার করার প্রয়োজন হয় না ।
৫) এটা একটা ওয়্যারলেস ব্যবস্থা ।
৬) আপনার ব্যবহারকারীর মধ্যে আপনি নিয়ন্ত্রনের জন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন ।
৭) ডিভাইস যত কাছে থাকে তত বেশি কাজ করতে সুবিধা হয় । যোগাযোগের জন্য রেডিও ওয়েব ব্যবহার করে থাকে ।
ব্লুটুথের সুবিধাসমূহঃ
১) আপনি চাইলেই কোনো প্রকার খরচ ছাড়ায় ব্লুটুথ দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ফাইল আদান প্রদান করতে পারেন ।
২ আমাদের হাতের কাছে সকল প্রকার ফোনে বা ল্যাপটপে বা বিভিন্ন প্রকার ডিভাইসে এখন Bluetooth পাওয়া যায় ।
৩)তেমন কোনো বিদ্যুৎ এর খরচ হয় না ।
৪) একাধিক ডিভাইসে একই সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা যায় ।
Bluetooth এর ব্যবহার
১) বিভিন্ন প্রকার স্কানার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ডিভাইসের ব্লুটুথের ব্যবহার করা যায় ।
২) এখন বিভিন্ন প্রকার হেটফোন, সাউন্ড বক্স, খেলনা Bluetooth সংযোগ পাওয়া যায় ।
৩) হেলথের বিভিন্ন অপারেশন এর জন্য জায়গা নিধারণ করার জন্য ব্লুটুথ ব্যবহার করা হয়ে থাকে
সর্বশেষ একটা কথা বলা যায় যে, ব্লুটুথের এখনও বহুমূখী ব্যবহার আছে । প্রযুক্তির অনেক উন্নতির এই যুগে এর ব্যবহার একেবারে কম নয় ।
আরও পড়ুনঃ WiFi কি ? কিভাবে কাজ করে ? WiFi ওর সুবিধা অসুবিধা
আপনি আরও বেশি নতুন কিছু পেতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজে লিংক