যেকোনো কিছু জনপ্রিয় হওয়ার পিছনে কিছু কারণ থাকে । বাংলাদেশে ইমো জনপ্রিয় হওয়ার তেমনি অনেক কারণ আছে । তার আগে ইমো সম্পর্কে কিছু তথ্যা জেনে নেওয়া যাক ।ইমো মুলত একটি ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ । যেকোনো মূর্হুতে খুব অল্প ইন্টারনেট ব্যবহার করে মেসেজ, অডিও ভিডিও কলে কথা বলা যায় ।
এছাড়া বিভিন্ন প্রকার ফাইল শেয়ার করা যায় । এই অ্যাপ যত মানুষ ব্যবহার করে তার মধ্যে বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি । এখন পর্যন্ত ইমো গুগল প্লে স্টোরে ১ বিলিয়ন+ বার ডাউনলোড হয়েছে । আর ৭ মিলিয়ন প্লাস রিভিউ রয়েছে । বাংলাদেশে ইমো ব্যবহারের অন্যতম কারণ বলা যায় সহজ ইন্টারফেস । যা যে কেও সহজে ব্যবহার করতে পারে ।
বাংলাদেশে ইমো জনপ্রিয় হওয়ার কারণ
১) যদি প্রথমে বলি তাহল বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা । শহরে ভালো মোবাইল ইন্টারনেট পেলেও গ্রাম অঞ্চলে এখনো ভালো মানের ইন্টারনেট পাওয়া যায় না । দেখা যায় গ্রামের অনেক মানুষ প্রবাসে থাকে তারা সহজে বাড়িতে যোগাযোগের জন্য ইমো ব্যবহার করে । কম ইন্টারনেট ব্যবহার করেও ভালোভাবে কথা বলা যায় ইমোতে ।
২) বাংলাদেশে ইমো জনপ্রিয় হওয়ার আর একটা অন্যতম কারণ । আমাদের দেশের যারা প্রবাসে থাকে তারা অধিকাংশ মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক । যেমনঃ সৌদি আরব, আরব আমিরাত ইত্যাদি দেশে ।
দেখা যায় মধ্যপ্রাচ্য এই সকল দেশে অন্যান্য যে সব ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ আছে সেগুলো নিষিদ্ধ । যেমনঃ হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার বা অন্য অ্যাপ । তার সুযোগটা নিচ্চে ইমো
৩) সহজ ইন্টারফেস বলা যায় ইমোতে।যেকেউ সহজে ইমো ব্যবহার করতে পারে । অতিরিক্ত কোনো সেটিং করা লাগে না । শুধুমাত্র অ্যাপ ডাউলোড দিয়ে নম্বর দিয়ে লগিন করলেই হয় । এই করণে সহজেই সকলেই ব্যবহার করতে পারেন ।
৪)আপনার সেভ করা যত নম্বর আছে তা খুব সহজে চলে আসবে ইমো অ্যাকাউন্টে । অতিরিক্ত করে কোনো নম্বর অ্যাড করা লাগে না । যা একজন সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য ভালো ।
৫) খুব সাধারণ মানের অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোতে ইমো ব্যবহার করা যায় । কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়ায় । যেমন মেসেঞ্জার ব্যবহার করতে গেলে ভালোমানের ইন্টারনেট ও মোবাইলের প্রয়োজন হব । এগুলো যদি যথাযথ না হয় তাহলে কথা ভালো হবে না ।
ইমোতে অসুবিধাসমূহ
আমাদের যে সকল জিনিস সুবিধা দিয়ে থাকে তারা আবার অসুবিধা দিয়ে থাকে । ইমো তার ব্যতিক্রম নয় ।
১) আমার কাছে সবচেয়ে অসুবিধা হলো অতিরিক্ত অ্যাড । কথা বলা অবস্থায় অ্যাড । কথা শেষ হলে অ্যাড । অনেক সময় দেখা যায় অ্যাডাল্ট অ্যাড দিয়ে থাকে ।
২) অপরিচিত মানুষে খুব সহজে ফোনে করতে পারে । আপনি যাকে চেনেন না সে আপনারকে অ্যাড করে কথা বলতে পারে এটা আমার কাছে খুব নেতিবাচক মনে হয়ে । দেখা যায় যখন তখন কথা বলার জন্য কল করে থাকে এই সকল মানুষ ।
৩) অতিরিক্ত নোটিফিকেশন যা আসলেই সকল মানুষের কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে থাকে ।
৪)ইমোর বিরুদ্ধে ডাটা নিরাপত্তা নিয়ে অভিযোগা আছে । যা যেকোনো ইনস্ট্যান মেসেজিং কোম্পানির কাম্য নয়।
তবে দিন শেষে আমাদের ইমো ভালো মানের একটা সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে বলা যায় । কারণ আমাদের দেশের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করলে । এই সব কারণ বিবেচনা করলে বাংলাদেশে ইমো এত পরিমাণে জনপ্রিয় । ধন্যবাদ ।
আরও পড়ুনঃ ইমোতে কল রেকর্ড (অডিও + ভিডিও) কিভাবে