অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সিকিউরিটি সম্পর্কে জানা একান্ত প্রয়োজন । কারণ অ্যান্ড্রয়েড ফোন এখন মানুষের সবচেয়ে কাছের একটি বস্তু বলা যায়।মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে অধিকাংশ অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে থাকে ।
কিন্তু কত মানুষ ফোন ব্যবহার করে তার অধিকাংশ মানুষ ফোন নিয়ে তত বেশি একটা সচেতন না । অনেক মানুষ্কে দেখা যায় সিকিউরিটি সম্পর্কে জানে না । যার ফলশ্রুতিতে পড়তে হয় বিভিন্ন রকম সমস্যায় । তাই আজকের পোষ্টে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সিকিউরিটি সম্পর্কে জানব ।
অ্যান্ড্রয়েড ফোন লক করতে হবেঃ
আমাদের মধ্যে অনেকের দেখা যায় ফোনে কোনো ধরনের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সিকিউরিটি লক থাকে না । অনেকে ইচ্ছামত ফোন ব্যবহার করে রেখে দেয় । তারা ফোন লককে বিরক্তি মনে করে । ফোন লক করে না রাখলে অনেক সমস্যায় পড়তে পারেন ।
যেমনঃ যে কেউ আপনার ফোন হাতে নিয়ে ব্যবহার করতে পারে যার কারণে আপনার প্রাইভেসি নষ্ট হতে পারে । এখন ফোনে বিভিন্ন প্রকার লক ব্যবহার করা যায় । যেমনঃ ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাসওয়ার্ড প্যাটার্ন পিন ফেস লক যেটা আপনার পছন্দ হয় সেটা ব্যবহার করতে পারেন ।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করাঃ
আমরা সবাই কমবেশি মোবাইলে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকি । কিন্তু শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে খুব কম সংখ্যক মানুষ । অনেকেই দেখা যায় ০০০০০ বা ১১১১১১ এ ধরেণের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকে । এটা খুবই দুর্বল পাসওয়ার্ড ।
পাসওয়ার্ড এমন ব্যবহার করব যেখানে অক্ষর সংখ্যা বিভিন্ন প্রকার সাংকেতিক চিহ্ন থাকবে । যদি পাসওয়ার্ড মনে রাখতে সমস্যা হয় তাহলে তা সমাধান আছে ।
পাসওয়ার্ড মনে রাখার বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস আছে সেখানে সেভ করে রাখতে পারেন সব পাসওয়ার্ড । যেমনঃ লাস্টপাস অন্যন্ত জনপ্রিয় একটা পাসওয়ার্ড সেভ রাখার অ্যাপস ও ওয়েব সাইট ।
অফিশিয়াল স্টোর থেকে অ্যাপস ডাউনলোডঃ
মোবাইলের অ্যাপস ডাউনলোড করার বিভিন্ন উৎস আছে । যেমনঃ গুগল প্লে স্টোর, UC স্টোর, বিভিন্ন মোবাইল ফোনের নিজেস্ব স্টোর । তবে যত প্রকার অ্যাপস স্টোর আছে তার মধ্যে গুগল প্লে স্টোর সবচেয়ে বেশি সিকিউরিটি দিয়ে থাকে ।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জগতে সবচেয়ে সিকিউর ফ্রি সেরা অ্যাপস পাওয়া যায় গুগল প্লে স্টোরে । তাই আমরা সঠিক অফিশিয়াল স্টোর থেকে অ্যাপস ডাউনলোড করব ।
পেইড সিকিউরিটি অ্যাপস ব্যবহারঃ
কম্পিউটার এর ক্ষেত্রে যেমনঃ পেইড সিকিউরিটির সফটওয়্যার পাওয়া যায় । তেমনি মোবাইলের ক্ষেত্রে পেইড অ্যাপস পাওয়া যায় । যদি একটা অ্যাপস ক্রয় করে নিতে পারেন তাহলে আপনার ফোন থাকবে অত্যধিক সুরক্ষিত ।
ফ্রি ওয়াইফাইকে না বলুনঃ
আমাদের দেশে ইন্টারনেটের ডাটার দাম সহজ লভ্য না হওয়ার করণে মানুষ ফ্রি ডাটা পেলেই ইন্টারনেট ব্রাউজ করা শুরু করে দেয় । ফ্রি ইন্টারনেট ডাটায় থাকতে পারে বিভিন্ন প্রকার ভাইরাস যার ফলে ফোনের ব্যপক ক্ষতি হতে পারে ।তাই যেখানে সেখানে ফ্রি ডাটা কখনও ব্যবহার করবেন না
অ্যাপস নিয়মিত আপডেট দেওয়াঃ
ফোনের যে কোনো নতুন অ্যাপস এ অনেক সমস্যা থাকে । অনেক সময় দেখা যায় অ্যাপে ভালো কাজ করে না । তাই নিয়মিত অ্যাপসগুলোতে আপডেট দিলে অনেক সুন্দর কাজ করে ও ভালো ফিচার পাওয়া যায় ।