বর্তমানে যত প্রকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে । তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক । অনেক জনপ্রিয় হলেও তাদের বিরুদ্ধে আছে অনেক অভিযোগ। তার মধ্যে অন্যতম হলো তথ্যের সঠিক সংরক্ষ্ণ না করা। অনেক বার ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে । এ বার ও তার ব্যতিক্রম নয়।
পৃথিবীর প্রায় ৫৩ কোটির বেশি ইউজারের তথ্য ফাঁস হয়েছে। ফোন নম্বর ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য ফাঁস হয়েছে অনলাইনে।ফাঁস হওয়া তথ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রের ৩ কোটি ২০ লাখ তথ্য। যুক্তরাজ্যের হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ও ভারতের ৬০ লাখের অধিক । তার মধ্যে বাংলাদেশর ব্যবহারকারীদের তথ্য ও বাদ যায় নি। বাংলাদেশের তথ্যের পরিমাণ ৩৮ লাখের অধিক ।
একজন ব্যবহারকরীর যে সব তথ্য ফাঁস হয়েছে ফোন নম্বর,ই-মেইল,জন্ম সাল,তারিখ ও ঠিকানা । এ সব তথ্যা প্রথমে অনেক চড়া দামে বিক্রি করা হয়েছে ।পরে দাম কমতে কমতে শেষে বিনা মূল্যে অনলাইনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতামত এসব তথ্য ফাঁস হয়ার । ফলে একজন ব্যবহারকারী অনেক বেশি ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
সাইবার অপরাধীরাদের কাছে এসব তথ্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তারা ঘটাতে পারে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা যা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত, সামাজিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। সাইবার অপরাধীরা এসব তথ্যসমূহ হ্যাকিং বিপণনসহ বিভিন্ন খারাপ কাজে ব্যবহার করতে পারেন। এসব তথ্যের সাথে মার্ক জাকারবার্গের ব্যক্তিগত তথ্য ই-মেইল,মোবাইল নম্বর ও ফাঁস হয়েছে।
ফেসবুকের দাবি তাদের যে সমস্যা ছিল । তারা তাদের সকল সমস্যার সমাধান করে নিয়েছে ২০১৯ সালে । ফেসবুকের এই তথ্য ফাঁস হওয়ার কারণে,যুক্তরাষ্ট্রকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার অনেক বার জরিমানা দেওয়া লেগেছে।
তাই ফাঁস হওয়ার পর পর আমাদের ফেসবুক আইডি চেক করতে হবে । যদি আমাদের আইডি সব ঠিক ঠাক থাকে তাহলে ভালো তারপর ও পাসওয়ার্ড ই-মেইল ফোন নম্বর সব কিছু পরিবর্তন করে নেওয়া ভালো হবে । আর আইডির যদি কোনো সমস্যা বা তথ্য সমূহ ফাঁস হয়ে যায় তহলে কিছু করার থাকেনা । তার পরেও যদি কোনো সুযোগ থাকে ই-মেইল,পাসওয়ার্ড,ফোন নম্বর ঠিকানা জন্ম তারিখ জন্ম সাল দিন পরিবর্তন করা সবচেয়ে ভালো হবে।