মোবাইল আজ কাল শুধু প্রয়োজন মেটায় না অনেকটা ফ্যাশানের অংশ হিসেবে দাড়িয়েছে । এখন মানুষ দেখে কে কত স্টাইলিস্ট মোবাইল ব্যবহার করে থাকে ও তার সাথে সাথে কে কত দামি ফোন ব্যবহার করে থাকে । তাই আজকে দেখব ফোন কেনার আগে আমাদের কো ন দশটি বিষয় মনে রাখতে হবে ।
মোবাইল কেনার আগে ১০টি বিষয় মনে রাখতে হবে
১) ডিজাইনঃ
ফোন কেনার আগে ডিজাইন দেখে কেনা উচিত । কারণ আপনার যদি ডিজাইন পছন্দ না হয় তাহলে আপনি সেটা যত বেশি ভালো ফোন হোক না বেশি দিন ব্যবহার করতে চাইবেন না । আপনার পছন্দ হয়ে এমন ফোন কেনা উচিত ।
ধরুনঃ আপনার সামনে অনেক সুস্বাদু খাবার আছে কিন্তু তার চেহারা মলিন আপনি কিন্তু খেতে চাইবেন না বা খাইলেও পেটের সমস্যা হতে পারে । তাই আপনি অনেক টাকা দিয়ে যখন ফোন কিনবেন তখন নিজের পছন্দ মত কিনবেন যেটা আপনি নিজের ইচ্ছা মত চালাতে পারেন ।
২) প্রসেসরঃ
ডিজাইন পছন্দ হয়ে গেলে মোবাইলের পারফমেন্স এর দিকে খেয়াল দেওয়া উচিত । সব সময় মোবাইল ফোন কেনার আগে ভালো মানের প্রসেসর নেওয়া উচিত । যেন সব কাজ ভালো ভাবে করা যায় ।
সব চেয়ে ভাল হয়ে স্নাপড্রাগনের পেসসর নিলে । তবে সব কোম্পানির লেটেস্ট ভার্সনগুলো অনেক ভালো করে থাকে । ভালো প্রসেসর না হলে ফোন হ্যাং করবে গেম ভালোভাবে খেলা যাবে না তাই ভালো প্রসেসর দরকার ।
৩) র্যামঃ
স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে র্যাম একটা ভালো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কাজ করে থাকে । অল্প র্যামের ফোনগুলোতে আপনি অনেক লোড দিতে পারবেন না । বেশি অ্যাপস ইনস্টল দিলে এবং অনেক অ্যাপস একই সাথে রান করে রাখলে ফোন হ্যাং করে থাকে ।
তাই মিনিমাম ৪জিবি র্যামের ফোন নেওয়া প্রয়োজন । আর গেম খেলার অভ্যাস থাকলে আরও বেশি নেওয়া উচিত । তবে এখনকার ফোনগুলোতে ২ জিবি র্যাম থাকে ।
৪) স্টোরেজঃ
ফোনের স্টোরে জেনে নিতে হবে ফোন কেনার আগে । কারণ রম এ যত বেশী পরিমানে জায়গা থাকবে তত বেশি আপনি বিভিন্ন ফাইল রাখতে পারেবেন । যেগুলো আপনার অনেক কাজে সাহায্য করে থাকবে । তাই ফোন কেনার আগে যথা যথা স্টোরেজে জায়গা আছে কিনা তা জেনে নেওয়া দরকার ।
৫) ডিসপ্লেঃ
মোবাইলের ডিসপ্লে বাইরের একটা অংশকে ভালো ভাবে দেখার একটা অংশ । বর্তমানের সময়ে অনেক বড় বড় ডিসপ্লে সমৃদ্ধ ফোন বাজারে পাওয়া যায় ।
তবে সাধারণভাবে ফোনের ডিসপ্লে ৫ – ৬ ইঞ্চি হলে ভালো হয় । ডিসপ্লে যত বেশি বড় হবে তত ফোন তত বেশি সমস্যা হবে বেড়াতে । সুপার অ্যামলোড ডিসপ্লে আছে এমন ফোন কিনতে হবে ।
৬) ব্যাটরিঃ
ফোনের অন্য হার্ডওয়্যারের মত ব্যাটরি অন্যতম । ফোনের ব্যাটরি যদি কম mah হয় তাহলে চার্জ অনেক কম থাকবে । স্মার্টফোনে যদি কম চার্জ থাকে তাহলে গেম খেলতে, ওয়েব ব্রাউজিং, ফেসবুকিং বা কথা বলতে অনেক সমস্যার সম্মূখীন হতে হয় ।
আপনি যখন বার বার চার্জ দিবেন তখন আপনারই বিরক্তি লাগবে । তাই মিনিমাম ৫০০০ mah ব্যাটরি আছে এমন ফোন কিনতে হবে ।
৭) ফাস্ট চার্জিংঃ
স্মার্টফোনে অনেক লোড পড়ার কারণে খুব দ্রুত চার্জ শেষ হয়ে থাকে অনেক সময় । তখনই চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে । চার্জ হওয়ার জন্য যদি অনেক সময় নিয়ে থাকে তা হলে অনেক কাজ আমরা করতে পারব না ।
তাই দ্রুত চার্জ হয় এমন ফোন কেনা প্রয়োজন । ফোনের চার্জ কত দ্রুত হবে সেটা নির্ভর করে থাকে ফোনের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর উপর ।
৮) ক্যামেরাঃ
স্মার্টফোনের প্রায় সব কোম্পানি ভালো মানের ক্যামেরা দিয়ে থাকে । বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার সময়ে সকলে ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে ভালোবাসে । এখার কার সময়ে যত ছবি তোলা হয় তার প্রায় সোশ্যাল মিডিয়াতে দেওয়া হয় ।
কিছু কিছু ফোন আছে তারা শুধু মাত্র ক্যামের উপর বেশি ফোকাস দিয়ে থাকে । যে ক্যামেরার মেগাপিক্সেল বেশি সেই ক্যামেরা নেওয়ার চেষ্টা করবেন । তবে কত মেগাপিক্সেল ক্যামেরা নিবেন সেটা নির্ভর করে আপনার টাকার উপর ।
৯) অপারেটিং সিস্টেমঃ
ফোনের অপারেটিং সিস্টেম বলতে আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ বোঝে অ্যান্ড্রয়েড । আমাদের সব মানুষই প্রায় অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে থাকে ।
ফোনের অনেক অপারেটটিং সিস্টেম আছে । মোবাইলের বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সম্পর্কে জানতে এই পোষ্টটি পড়তে পারেন স্মার্টফোনের ১০টি অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে জেনে নিন । তবে আমাদের দেশে বেশি পরিমাণে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ফোন পাওয়া যায় তা অ্যান্ড্রয়েডের লেটেস্ট ভার্সনটা আমরা নিতে পারি ।
১০) টাকাঃ
আপনার সব কিছু নির্ভর করবে টাকার উপর । যদি বেশি পরিমাণে টাকা খরচ করতে পারেন তাহলে সব কোম্পানির লেটেস্ট ফোন কিনতে পারবেন । তবে সবকিছুর একটা লেভেলে রেখে ফোন কিনতে পারেন ।
আসলে টাকা কম থাকলে ভালো ফোন কেনা এক প্রকার অসম্ভব কাজ । তবে শেষে একটা কথা বলতে হয় “ যত চিনি দেবেন তত মিষ্টি হবে, তেমনি টাকা বেশি দিলে ভালো ফোন হবে আশা করা যায়” আজ এ পর্যন্ত সব পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।