যে কোনো বিষয়ে কে না সফল হতে চায় । তেমনি টিকটকে ভাইরাল হওয়ার জন্য অনেকে অনেক কাজ করে থাকে । তবে এখানে আপনি রাতারাতি সফল হতে পারেন আবার অনেকে দিন ধরে কাজ করেও সফল হতে পারেন না ।
টিকটকে ভাইরাল হওয়ার জন্য অনেক বিষয় খেয়াল রাখতে হয় । এখানে সবাই ভাইরাল হতে চায় । কারণ ভাইরাল হলে অনেক মানুষ চেনে । তাছাড়া আপনি যদি কোনো প্রডাক্ট প্রমোট করতে চান তাহলে এখানে ভাইরাল হওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো কিছু নেই ।
তাই আজকে আমরা কিছু নিয়ম এখান তুলে ধরব যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে টিকটকে সফল বা ভাইরাল হতে পারেন । চলুন দেখে নেওয়া যাক ।
টিকটকে ভাইরাল হওয়ার ১০ উপায়
১) নিয়মিত ভিডিও দেওয়া
টিকটকে ভাইরাল হতে হলে আপনাকে নিয়মিত ভিডিও দিতে হবে । এখানে যদি আপনি একটা ভিডিও দিয়ে রেখে দেন আর না দেন কখনও আপনার ভিডিও র্যাংক করবে না । প্রতিনিয়ত ভিভিও দিতে হবে ।
২) ভিডিও এর লেন্থ
ভিডিও লেন্থ মানে ভিডিও কতটুকু লম্বা হবে । টিকটকে আপনি সবোর্চ ৫ মিনিটের ভিডিও দিতে পারবেন । এর বেশি ভিডিও আপলোড করতে পারবেন না । আপনার ভিডিও ভাইরাল হতে হলে ১৫ সেকেন্ড এর ভিডিও দিতে হবে । ১৫ সেকেন্ড এর ভিডিও টিকটক কোম্পানি বেশি প্রমোট করে থাকে ।
৩) ট্রেন্ডিং ভিডিও
টিকটকে সব সময় ট্রেন্ডিং ভিডিও তৈরি করতে হবে । আপনার যদি টিকটকে অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে দেখবেন টিকটক কোম্পানি মেসেজ দিবে ট্রেন্ডিং বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করার জন্য । তাই ট্রেন্ডিং ভিডিও তৈরি করুন ।
৪) হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার
টিকটকে প্রচুর প্ররিমাণে হ্যাশটাগের ভিডিও কাজ করে থাকে । এখন যে বিষয়ের উপর ট্রেন্ডিং হ্যাশ ট্যাপ আছে সেই হ্যাশ ট্যাপ ব্যবহার করে ভিডিও বানালে বেশি ভাইরাল হবেন ।
৫) গেম খেলা
মাঝেমাঝে দেখবেন টিকটক কোম্পানি গেম নিয়ে আসে । আপনি যদি সেই সব গেম খেলে ভিডিও আপলোড দিতে পারেন তাহলে বেশি পরিমানে ভাইরাল হতে পারেন ।
৬) ভিডিওতে ইফেক্ট ব্যবহার
টিকটক বলা যায় ইফেক্টের রাজা । আপনার ভিডিওতে যদি যথাযথা ইফেক্ট দিতে পারেন তাহলে ভিডিও খুব তাড়াতাড়ি ভাইরাল হবে ।
৭) কমেন্টের রিপ্লে দেওয়া
ভিডিও এর নিচে অনেকে কমেন্ট করে থাকে । সেই কমেন্টের যদি যথাযথ রিপ্লে করতে পারেন তাহলে অনেক বেশি পরিমাণে আপনার ভিডিও এর ভিউ হবে ।
৮) ভিডিও ড্রাফট করে না রাখা
দেখা যায় আপনি একটা ভিডিও শট দিয়েছেন । দেওয়ার পর আপলোড দিয়েছেন । দেওয়ার পর দেখলেন কিছু অংশ বাদ দিলে ভালো হত । এর জন্য ভিডিওটি ড্রাফট করে রাখলেন । এই ড্রাফট এর জন্য আপনার ভিডিও ভাইরাল নাও হতে পারে । কারণ টিকটিক কোম্পানি ড্রাফট বিষয়টা পছন্দ করে না ।
৯) রোস্টিং ভিডিও না দেওয়া
টিকটক এ কখনও রোস্টিং ভিডিও দিবেন না । রোস্টিং ভিডিও দিলে আপনার অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিতে পারে টিকটক কোম্পানি
১০) ভিডিও পাবলিশ
ভিডিও পাবলিশ করার সময় একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন ভিডিও যেন Everyone করা থাকে । কোনো ভাবেই যেন Private করা না থাকে । তাহলে ভিডিওর কোনো ভিউ হবে না ।
১১) কভার ফটো ব্যবহার করা
যেকোনো ভিডিও পাবলিশ করার জন্য কভার ফটো ব্যবহার করা । ইউটিউবে যেটা থাম্বনেইল বলে । এই কভার ফটো যেকোনো ভিডিও এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । যে যেগুলো দেখে আপনার ভিডিও দেখবে মানুষ । বলা যায় যে এই বিষয়গুলো যদি মেনে চলেন ।
তাহলে আপনার টিকটকে ভাইরাল হওয়া খুব সহজ হয়ে যাবে । যে বিষয়গুলো দেখানো হলো তা আমার বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা তাই এই কাজগুলো করতে পারেন ।
আরও পড়ুনঃ টিকটকের হিস্টোরি ডিলিট করার উপায়