প্রযুক্তির এই দুনিয়ায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা মানুষের খুব কাছে এনেছে এটিএম ব্যবস্থা । যে কেউ ইচ্ছা করলে যখন তখন এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারছে । যেটা প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সম্ভব নয় ।
যেখানে এটিএম ব্যবস্থা আসার আগে মানুষকে টাকা তুলতে হলে অনেক সময় ও ঝামেলার মধ্যে দিয়ে সময় পার করতে হত । এটিএম আসার কারণে সেই কাজ মাত্র ১ থেকে ২ মিনিটে শেষ করা সম্ভব হচ্ছে । ইচ্ছামত যখন তখন টাকা তোলা যায় এটিএম বুথ থেকে ।
এটিএম (ATM) এর পূর্ণরুপ কি
ATM এর পূর্ণরুপ Automated teller machine বাংলা অর্থ (স্বয়ংক্রিয় টেলার মেশিন)
এটিএম কার্ড নিতে হলে আপনাকে একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করতে হবে । কিছু ব্যাংক তাদের শাখায় একাউন্ট করার সাথে সাথে কার্ড দিয়ে থাকে । আবার কিছু ব্যাংক ১৫ দিনের মত সময় নিয়ে থাকে । সেই ব্যাংকের উপর নির্ভর করে কখন তারা কার্ড দিবে ।
কার্ড দিয়ে এটিএম বুথ থেকে কত টাকা তোলা যায়
এটা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে । আপনার লেনদেন, ব্যাংক একাউন্টের ধরণ, এটিএম কার্ডের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে । তবে সাধারণত প্রত্যেক ব্যাংক এক দিনে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত তুলতে দেয় ।
তবে কিছু ব্যাংক ১ লক্ষ টাকা তুলতে দিয়ে থাকে । তবে এটা ভিআইপি অ্যাকাউন্টের কার্যকর হয়ে থাকে । তবে স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্টগুলোতে বেশি টাকা তুলতে দেয় না ।
তাই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় সব কিছু হিসাব করে অ্যাকাউন্ট খুলবনে তবে সব কার্ড থেকে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা তোলা যার ।
এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম
প্রথমে আপনার আশেপাশের যে কোনো একটি বুথ খুজে বের করতে হবে । তার পর মেশিনে কার্ড প্রবেশ করতে হবে । এখন দুই ধরণের মেশিন দেখা যায় । একটা টাচ স্কিন ও বাটন দেওয়া মেশিন ।
মেশিনে কার্ড দেওয়ার সাথে সাথে টাচ স্কিনের মেশিনে সম্পূর্ণ ঠেলে দিতে হবে । আর বাটন মেশিনে কার্ড অল্প দিলে কার্ড টেনে নেয়। কার্ড মেশিনের ভেতরে টেনে নিলে ভয়ের কোনো কারণ নেই। কারণ টাকা তোলার পরে কার্ড ফেরত নিয়ে আসবে ।
কার্ড দেওয়ার সাথে সাথে চার সংখ্যার পিন দিতে হবে। যদি বাটন থাকে তাহলে বাটন চেপে । আর টাচ স্কিন থাকলে টাচ চেপে চেপে পিন দিতে হবে ।
মেশিনে পিন দেওয়ার পর বাটন মেশনি অনেকগুলো পাশে লেখা আছে Cash Withdrawal বা “নগদ উত্তোলন” টাচ স্কিন মেশিনে সব কিছু লেখা থাকে স্কিনে । মেশিনে বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় লেখা থাকে ।
বুথ থেকে টাকা তোলার পদ্ধতি
বর্তমানে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত তোলা যায় একবারে । তবে ডিসপ্লেতে ৫০০ টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লেখা থাকে । আর যদি ২০ হাজার টাকা তুলতে চান তাহলে একে বার নিচে “Other বা অন্যান্য” লেখা আছে সেখানে ক্লিক করতে হবে । এবার এখান থেকে ২০,০০০ বাটন বা স্কিন চেপে লিখে দিতে হবে ।
এর পর transition receipt চাই কি না তা জানতে চাইবে । আপনি যদি “YES” করেন তাহলে টাকা মেশিন বের হওয়ার সাথে সাথে একটা কাগজ আসবে । কত টাকা তুলেছেন তার একটা রিসিভ আসবে । এর জন্য ২-৪ টাকা পর্যন্ত চার্জ কাটবে । “NO” করলে এমন কোনো কাগজ আসবে না। আর কোনো টাকা চার্জ কাটবে না ।
এর পর মেশিন থেকে টাকা বের হয়ে আসবে । মেশিন থেকে টাকা বের হওয়ার সাথে সাথে টাকাগুলো দেখে নিবেন । কারণ অনেক সময় টাকা কাটা থাকে । যদি কাটা টাকা চলে আসে বুথের লোকের জানাবেন । জানালে সে টাকা নিয়ে রাখবে বা লিখে রাখে । ব্যাংক খোলা থাকলে টাকা পরিবর্তন করে দিবে ।
তার পর আপনি কোনো টাকা তুলতে চান কি না তার তার একটা অপশন আসবে । যদি আরও টাকা তুলতে চান তাহলে “YES” এ ক্লিক করুন । আর টাকা তুলতে না চাইলে “NO” তে ক্লিক করুন । “NO” তে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার কার্ড মেশিন থেকে বের হয়ে আসবে ।
এখান থেকে কার্ডটি নিয়ে নিবেন। কার্ড টি নেওয়া হলে চলে আসবে ।
যদি টাকা তুলতে কোনো প্রকার সমস্যার মুখোমুখি হয়ে যান তাহলে বুথে যে মানুষ থাকে তাকে জানালে সকল সমস্যার সমাধান করে দিবে । তাই কোনো প্রকার ভয় পাওয়ার কারণ নেয় ।
উপরের উপরের পদ্ধতিগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করলে আপনি সঠিক এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন । ধন্যবাদ ।
আরও পড়ুনঃ সেরা ১০টি এন্ড্রয়েড ফোন টিপস যা আপনার কাজে লাগবে